কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

জিতি-হারি আমরা একে অন্যের পাশে থাকব

কেউ কেউ আপনাদের প্যানেল থেকে বের হয়ে অন্য প্যানেলে আপনাদের মুখোমুখি হচ্ছেন, এটা কি আস্থাহীনতা নয়?

আমাদের নির্বাচন মানে ভালোবেসে দায়িত্ব নেওয়া। এখানে মুখোমুখি হওয়ার কিছু নেই। কেউ কেউ চলে গেছেন, এটা নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই। কারণ, আমরা শিল্পীদের সেবা করতে নিজের সময় ব্যয় করে কাজ করছি। সেটা যে প্যানেল থেকে হোক, অসুবিধা কী? আর আমাদের প্যানেলেও কেউ কেউ এসেছেন। এটা সবার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখন নির্বাচন করছি বলে ইলিয়াস ভাইয়ের সুখ–দুঃখে পাশে দাঁড়াব না? দাঁড়াব। আমাদের শিল্পীদের মধ্যে ভেদাভেদ নেই।

শিল্পী হিসেবে কী কী কাজ করবেন?

ভূমিহীন শিল্পীদের আবাস নিয়ে কাজ করছিলাম। সেটা আবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে শুরু করব। ১৮৪ জন শিল্পীর নানা কারণে বাদ পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে যোগ্যদের সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে কাজ করব। ইশতেহারে আমরা বিস্তারিত জানাব। এটুকু বলব, শিল্পীদের জন্য আগে যে কাজ হয়নি, এমন বেশ কিছু কাজ আমরা করব।

কয়েক দিন আগেও ফেসবুকে আপনাদের প্রচারণায় দেখা যায়নি।

আমরা এর আগে অফিশিয়ালি ডিক্লিয়ারে না যাওয়ার কারণে ফেসবুকে প্রচারণায় ছিলাম না। এখন আমরা নিয়মিত প্রচারণায় সরব আছি। আর আমাদের জায়েদ খান কোনো কিছু ফেসবুকে বেশি দিলেও বদনাম হয়। আবার পোস্ট না দিলেও জায়েদের নামে বদনাম। এখন বেচারা কী করবে। ওকে বলেছি ঠাকমতো সবকিছু ফেসবুকে পোস্ট করতে। এখন আমরা অনলাইন, অফলাইন—সব জায়গায় রয়েছি।

আপনি কি মনে করেন আপনাদের বর্তমান কমিটির সবাই ঠিকমতো কাজ করেছেন?

সেবা করতে গিয়ে অনেক সময় দু-একজনকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা ভবিষ্যতে আরও বেশি জবাবদিহি বাড়াব। শৃঙ্খলার সঙ্গে আরও বেশি সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করব। এবার শতভাগ সেবা নিশ্চিত করব।

নির্বাচন তো বেশ জমজমাট…

আমাদের নির্বাচন সব সময়ই জমজমাট থাকে। ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই, নিপুণ, রিয়াজ—সবার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অনেকের সঙ্গে কোলাকুলি করলাম। আমরা সবাই মিলে সুস্থ–সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন চাই।

ভিলেন মুখোমুখি হচ্ছে নায়কের…

ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই আমার হিরো, আমার বড় ভাই, আমার অভিভাবক। তবে একটি বিষয় নিয়ে বলব, শিল্পী সমিতিকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছি যে আমাদের উপদেষ্টাই স্বয়ং নির্বাচন করছেন। ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই আমাদের উপদেষ্টা ছিলেন। একজন একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকও শিল্পী সমিতির সেবা করতে চান। তার মানে আমাদের গত পরিষদ এমন হাইপ তুলেছে, যার কারণে ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই সেবা করার জন্য আসতে চাইছেন। এটা ভালো দিক। আমাদের ওপর সেই আস্থা রাখলে ভুল করবে না সহকর্মীরা। আমার অ্যাডভাইজার আমার বিপরীতে—এটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।

প্রার্থী হওয়ার পরে ইলিয়াস কাঞ্চন কী বললেন?

আমাদের তো দেখা হচ্ছেই। তিনি সব সময়ই শুভকামনা জানান। যা–ই হোক একসঙ্গে কাজ করব, সেই জায়গায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জিতি–হারি আমরা একে অন্যের পাশে থাকব।

এবার প্রতিযোগিতা কেমন হবে বলে মনে করেন?

ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাঁকে ভোট দেবেন। তবে এবার অনেক সুন্দর একটি নির্বাচন হবে। জয়–পরাজয় আছে। জেতার জন্য একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কিন্তু যে–ই জিতি, শিল্পীদের সেবা করতে হবে। সেটাই আসল।

পাঠকের মতামত: